| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

যে কারনগুলো একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

December 25, 2022
Image
শিক্ষা এবং যোগ্যতা ছাড়া একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তি তৈরী করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ফলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্থ্ হয়। আবার যদি একটি দেশে নারীদের চেয়ে শিক্ষিত পুরুষের সংখ্যা বেশী হয় তবে সেক্ষেত্রেও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যেহেতু নারীদের পুরুষের মত দক্ষ হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাই তাদের শিক্ষামূলক কর্মসূচির বাহিরে রেখে সুষম উন্নয়ন সম্ভব নয়।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত দেশের নাগরিকরা উন্নত জীবনযাপন করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখে। উন্নয়নের হার দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে এবং উন্নয়নের গতি কিছু দেশে ধীর হতে পারে। এক্ষেত্রে নাগরিকেরা সব সুযোগ-সুবিধা পায় না এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিও আশানারুপ হয় না। মন্থর বা সীমিত অর্থনৈতিক উন্নতির অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে । কিন্তু সবগুলোর মধ্যে ৩টি প্রধান কারন হলো সম্পদের সীমাবদ্ধতা, শিক্ষার অভাব এবং দুর্বল উন্নয়নের হার।

কিছু দেশে সম্পদ পর্যাপ্ত থাকতে পারে আবার অনেক দেশে কমও থাকতে পারে। তবে সম্পদ যা থাক না কেন, দেশের নাগরিকরা সমানভাবে সেই সম্পদের সুফল নাও পেতে পারে। এর কিছু কারন যেমন অধিক জনসংখ্যা, সচেতনতার অভাব এবং জনসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ বা ক্ষমতা দেওয়া।

যদি প্রয়োজন অনুযায়ী সমানভাবে সম্পদের ব্যাবহার না করতে দেওয়া হয় তবে জনসংখ্যার একটা অংশ পিছিয়ে পরতে পারে। আবার উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, হোক সেটি উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ। অন্যদিকে প্রযুক্তির ব্যবহারও একটি দেশের উন্নয়ণের হার নির্ণয়ের নিয়ামক হতে পারে। শিক্ষার গুরত্ব, চাকরির প্রাপ্যতা ও বেকারের অনুপাতসহ আরও অন্যান্য বিষয় উন্নয়নকে প্রভাবিত করতে পারে। সর্বোপরি এগুলো একটি দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে ধীর করে দিতে পারে। শিক্ষা প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যক। শিক্ষা ব্যক্তি-লিঙ্গ নির্বিশেষে দেশের প্রগতিতে অবদান রাখতে পারে। তবে এখনও কিছু দেশে সবাই সমানভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। এর কারণগুলো হতে পারেঃ

● প্রাসঙ্গিক শিক্ষার সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। ● স্কুল ও কলেজের অভাব। ● শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের অভাব। ● নারীদের চেয়ে পুরুষদের বেশি শিক্ষিত করার প্রবণতা।

শিক্ষা এবং যোগ্যতা ছাড়া একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত্তি তৈরী করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ফলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্থ্ হয়। আবার যদি একটি দেশে নারীদের চেয়ে শিক্ষিত পুরুষের সংখ্যা বেশী হয় তবে সেক্ষেত্রেও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যেহেতু নারীদের পুরুষের মত দক্ষ হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাই তাদের শিক্ষামূলক কর্মসূচির বাহিরে রেখে সুষম উন্নয়ন সম্ভব নয়।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ্য করার অনেকগুলো কারন থাকতে পারে। এই কারনগুলো সমাধান করা যায়। আর এ জন্য এই কারণগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা অপরিহার্য। এই কারণগুলির মূল উৎসগুলি বোঝার মাধ্যমে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সে কারনগুলো কিভাবে ঘটছে এবং তাদের প্রভাব ঠিক কী তা বুঝতে হবে। আবার নিরক্ষরতা এবং অপর্যাপ্ত সম্পদ ছাড়াও অন্যান্য কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। সেই কারণগুলোও চিহ্নিত করতে হবে।

প্রবৃদ্ধি অর্জন করার জন্য নাগরিকদের প্রয়োজনীয় উপাদানের সরবরাহ থাকা উচিত। যে কারণগুলি একটি দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধা হয়ে দাড়ায় সেগুলোর বৃদ্ধি রোধ করতে হবে। এইভাবে একটি দেশের নাগরিক শিক্ষিত ও কর্মক্ষম হয়ে অর্থনীতির একটি শক্তিশালী স্তম্ভে রূপান্তরিত হবে।

PREVIOS POST
কীভাবে একজন নেতার মতো চিন্তা করবেন এবং ব্যবসায়ীক লক্ষ্য অর্জন করবেন
NEXT POST
স্মার্টফোন যেভাবে ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বদলে দেয়

Related Posts