| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পাঁচটি উপায়

January 3, 2023
Image
বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়তে বাধ্য। আর সেটা যদি বাড়ে তাহলে আপনার কাঙ্খিত সাফল্য আপনার হাতে এসে ধরা দিতেও বাধ্য। মনে রাখবেন সফলতা আনায়নের জন্য পরিকল্পিত পরিশ্রমের কোনো জুরি নেই।

বিশ্বায়নের এই যুগে দিন দিন হচ্ছে নব নব উদ্ভাবন। চলছে আকাশ ছোঁয়ার প্রস্ততি। এই বিশ্বায়নের সাথে তাল মেলাতে হচ্ছে আমাদেরও। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বিরাজমান এই বিশ্বে টিকে থাকার জন্য ছুটছি আমরা। সকালের সূর্যোদয় থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি বিভিন্ন রকম কাজে ডুবে থাকি আমরা। এমনকি সপ্তাহ শেষে যে ছুটির দিনটি পাই সেই দিনও কাজের কোনো অন্ত থাকে না। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী ফল পান না। দিন রাত কাজ করেও তারা তাদের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেন না। আমরা যদি একটু সতর্কভাবে কিছু নিয়ম অনুসরন করে কাজ করি তাহলে কাঙ্খিত সাফল্য এসে আমাদের হাতে ধরা দিতে বাধ্য। সেই সব মানুষ যারা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদেরকে সফলতার দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দেয়ার চেষ্টায় তুলে ধরা হল আপনার উৎপাদন ক্ষমতাকে আরো গতিশীল করার ৫ টি উপায়:

১) প্রথমে আপনার কাজের দুইটি আলাদা তালিকা তৈরী করুন। প্রথম তালিকাটিতে থাকবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো, যেগুলো এই মাসের মধ্যেই করা দরকার। আর দ্বিতীয়টিতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাখুন। যেগুলো পরবর্তী ২/৩ মাসের মধ্যে করলেই চলবে। প্রথম তালিকাটিকে বেশি প্রাধান্য দিন। আর দ্বিতীয় তালিকাটির কাজগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে দিন। দ্বিতীয় তালিকাটি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন না হয়ে প্রথম তালিকার কাজগুলো আগে শেষ করার চেষ্টা করুন। কিন্তু যে দিন আপনি হালকা কোন কাজ করবেন সেদিন দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাছাই করে দুই-একটা কাজ হাতে নিতে পারেন।

২) আপনার আসা ই-মেইলগুলোর জবাব দিতে কতটুকু সময় ব্যায় করবেন তা আগেই ঠিক করে নিন। একদিনে আপনি অনেক ই-মেইল পেতে পারেন কিন্তু এর মধ্যে সবগুলো সমান গুরুত্বপূর্ণ হবে না নিশ্চয়ই। গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে ই-মেইলগুলোর জবাব দিন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় এতে ব্যায় করবেন না কখনোই।

৩) আপনার সামর্থের চেয়ে অধিক কাজ করবেন না। আপনার কর্মশক্তিকে জিইয়ে রাখুন। অর্থাৎ আপনি যখন চরমভাবে পরিশ্রান্ত হয়ে পরবেন তখন সকল প্রকার কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কারণ একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, একদিনে অত্যাধিক পরিশ্রম কেবল আপনার উৎপাদনের গতিকেই মন্থর করেনা, সেই সাথে আপনার পরের দিনের কাজের গতিকেও রোধ করে।

৪) কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিনের শেষ ভাগে করার জন্য তুলে রাখুন, যাতে সেই কাজটি শেষ করার জন্য দিনের শেষেও আপনাকে কর্মক্ষম থাকতে হয়। আর যদি একেবারেই শেষ করতে না পারেন তাহলেও যাতে তেমন কোন সমস্যা না হয়।

৫) আপনি যেভাবে যা করতে পারছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। যা করতে পারছেন না তার জন্য নিজেকে দোষারোপ করবেন না। আরো সাফল্য অর্জন ও আপনার সুস্থ দেহের জন্য স্রষ্টার নিকট সব সময় প্রার্থনা করুন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন । আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়তে বাধ্য। আর সেটা যদি বাড়ে তাহলে আপনার কাঙ্খিত সাফল্য আপনার হাতে এসে ধরা দিতেও বাধ্য। মনে রাখবেন সফলতা আনায়নের জন্য পরিকল্পিত পরিশ্রমের কোনো জুরি নেই।

PREVIOS POST
যেভাবে স্থানীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে
NEXT POST
অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার আরও দক্ষ জনশক্তি চায়

Related Posts