| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

যেসব খাতে বাংলাদেশ ভাল করছে

April 27, 2022
Image
তুলনামুলক ভাবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকে বাংলাদেশ অধিক সাফল্যের সাথে করোনা মহামারী মোকাবেলা করেছে। করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্বে বিনিয়োগের পরিমাপ পরিমাণ কমে গিয়েছিল তবে ধীরে ধীরে এখন তা বাড়ছে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে বস্ত্র এবং পোশাক খাতের কথা সবার আগে উঠে আসে। এরপর উঠে আসে ক্রিকেটের কথা। তারপর উঠে আসে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতির কথা। বস্ত্র ও পোশাক খাত ক্রিকেট এবং সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতির বাইরে ও বাংলাদেশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। যেমন বলা যায় দারিদ্র বিমোচন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং স্বনির্ভরতা।

অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য দিকে তাকালে বস্ত্র ও পোশাক খাতের পাশাপাশি ফার্মাসিটিক্যালস ফার্নিচার আইটি এবং শিপ ব্রেকিং ঘাটগুলো গত ১০ বছরে দুর্দান্তভাবে উঠে এসেছে এবং অর্থনীতিতে প্রবল প্রভাব বিস্তার করছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান মনে করেন যে সঠিক নীতি নির্ধারণ করার মাধ্যমে এই অর্জনগুলো সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও মনে করেন আগামীদিনগুলোতে এই সব খাত থেকে আরো সাফল্য অর্জন আসবে এবং দেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্যবসায়ী ও ঢাকা-১ এর সাংসদ সদস্য বনে করেন এই খাত গুলো বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারবে

করোনা মহামারী পৃথিবীর সার্বিক চলাচল স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন ভালোর দিকে। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশি করোনা মহামারীর কারণে আক্রান্ত হয়েছিল যা ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে আঘাত করেছিল। তুলনামুলক ভাবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকে বাংলাদেশ অধিক সাফল্যের সাথে করোনা মহামারী মোকাবেলা করেছে। করোনা মহামারীর কারণে সারা বিশ্বে বিনিয়োগের পরিমাপ পরিমাণ কমে গিয়েছিল তবে ধীরে ধীরে এখন তা বাড়ছে। সারা পৃথিবীর বিনিয়োগকারীরা গত দুই বছর 'ওয়েট এন্ড সি' পলিসি গ্রহণ করেছিলেন। সেই পরিস্থিতি এখন পাল্টাচ্ছে। এটা স্বাভাবিক যে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগকারীরাই বসে থাকতে চাইবেন না। তারা স্বাভাবিক পন্থায় ফেরত এসে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশ বিশ্বের সকল বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে যেন বিবেচিত হয় সেই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। পরিসংখ্যান মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশে ২৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বিনিয়োগ এসেছিল। বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশ গুলোর মধ্যে চায়না সবচাইতে এগিয়ে। মোট বিনিয়োগের প্রায় ২২ শতাংশ চায়না। যুক্তরাজ্য করেছিল ১৪ শতাংশ। পরিসংখ্যান মতে, সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। এরপর ব্যাংকিং খাতে এবং খাদ্য খাতে। তারপর টেক্সটাইল ও টেলিকমিউনিকেশন খাত। সালমান এফ রহমান চান বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাত্রা যেন পারে এবং বিনিয়োগ যেন ডাইভারসিফাইড হয়। সেই লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং তাদেরকে বুঝিয়েছেন বাংলাদেশ কেন বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো গন্তব্য।

সালমান এফ রহমান নিজে একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বোঝেন ব্যবসায়ীদের মাইন্ডসেট। তার জন্য এ কাজ তাই অনেক সহজ। তার আশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিক ভাবে একটি পরাশক্তি হয়ে উঠবে। সেই লক্ষ্যে তিনি ফার্মাসিটিক্যালস ফার্নিচার এবং আইটি সেক্টরে বৈদেশিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করার চেষ্টায় বলবৎ আছেন।

PREVIOS POST
টেক্সটাইল শিল্পে বেক্সিমকো গ্রুপের অবদান
NEXT POST
কোভিড মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশ

Related Posts