| ঢাকা, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে

June 20, 2021
Image
বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভবনাময়

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক খাতের কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ১৯৭৫ সালের পর, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা, যাদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম, সামসং চৌধুরী ও বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান অন্যতম, শিল্পের উন্নয়নে এবং তার অর্থনীতি পুনর্বাসনের দিকে মনোনিবেশ করতে শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে, সরকার ধীরে ধীরে অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অনেক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারিকরণ করা হয়েছে যেমন ব্যাংকিং, টেলিযোগাযোগ, বিমান, মিডিয়া এবং পাট। ১৯৯০ এর দশকে অর্থনীতি বেশ উন্নতি করেছে, তখন বেক্সিমকো গ্রুপ, ইসলাম গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ অর্থনীতিতে তাদের অবদান রেখেছে।

১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে সরকার এর অর্থনৈতিক নীতিগুলি আরও জোরদার হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে তৈরী পোশাক শিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস,কৃষি, জাহাজ নির্মাণ প্রায় সকল খাতেরই অবদান আছে। বর্তমানে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রায় সকল খাতেই দেশটি সফলতার মুখ দেখছে। বেক্সিমকো গ্রুপ, ইসলাম গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপের সাথে সাথে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের ভিত্তি শক্ত করেছে।

বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সম্ভবনাময় ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। আইএমএফের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৬ সালের দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রমবর্ধমান প্রধান অর্থনীতির একটি দেশ। ২০০৪ সালের পর থেকে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ গড়ে ৬.৫% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।এই অর্জনের পিছনে তৈরী পোশাক খাত, কৃষি পণ্য রপ্তানি, জাহাজ নির্মাণ, মাছ ও সীফুড, পাট ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি,ফার্মাসিউটিক্যালস, ইস্পাত সহ প্রায় সকল সেক্টরের অবদানই রয়েছে। বিদেশী কোম্পানিগুলি থেকে উচ্চ বিনিয়োগ লাভের ফলে বাংলাদেশ এর টেলিযোগাযোগ শিল্পও খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তৈরী পোশাক শিল্পের উন্নতির জন্য বেসরকারী গার্মেন্টসগুলোর অবদানের কথা না বললেই নয়। ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে, প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ এই সেক্টরে কাজ করতো।কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৩৫ লক্ষ শ্রমক এই সেক্টরে কাজ করে।২০০১ থেকে ২০০২ সালে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় ৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৫২% ছিল। বাংলাদেশ ২০০৯ সালে পোশাক রপ্তানিতে ভারতকে পছনে ফেলে।ঐ বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ২.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সবচেয়ে আশার কথা হল ২০১৪ সালে থেকে রপ্তানি প্রতি মাসে প্রায় ৩.১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বেশীরভাগ বাংলাদেশি কৃষি থেকে জীবিকা অর্জন করেন। তাই এর অবদান অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। যদিও বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের ফসল যেমনঃ ধান,গম, ভুট্টা,আলু,সরিষা ও সবজির ফলন হয়ে থাকে। তবুও ধানের কথাই বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। বাংলাদেশের উর্বর মাটি এবং পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকার কারণে এক বছরেই তিনবার ফসল ফলানো সম্ভব হয়। এর সুফলও কিন্তু আমরা দেখতে পারছি। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং নিজের দেশের চাহিদা পূরন করেও চাল রপ্তানি করছে। এভাবে কৃষি দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করছে।

বর্তমানে নতুন সম্ভবনাময় কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সেক্টর হল টেলিযোগাযোগ ফার্মাসিউটিক্যাল ও গ্যাস। এই সেক্টরগুলোও বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বেক্সিমকো ফার্মা কিছুদিন আগে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জএ তালিকাভুক্ত রয়েছে। চীন, জাপান, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার মত দেশও বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে।

সালমান এফ রহমান সহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিচক্ষনতা, বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ ও সকল খাতে সমানভাবে অগ্রগতির কারনে বাংলাদেশের অর্থনীতি এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ

বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ গ্রুপের মত প্রাইভেট কোম্পানীগুলো কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করছে?

 

 

PREVIOS POST
বৃষ্টির দিনের জন্য কেনাকাটা
NEXT POST
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারকারী শীর্ষস্থানীয় ৫টি প্রতিষ্ঠান

Related Posts