প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতি চীন সফর করেছেন। এই সফরে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক, দুই দিকই প্রাধান্য পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতি চীন সফর করেছেন। এই সফরে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক, দুই দিকই প্রাধান্য পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মন্ত্রী সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সফরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়। আলোচনা হয় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনের পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো নিয়ে, এবং দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দুয়ার খুলেছে। চীন বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে জ্বালানি, অবকাঠামো, লজিস্টিক, আইসিটি, পর্যটন এবং ফিনটেক খাতে বিনিয়োগ করবার। সফর কালে চীনের সঙ্গে একুশটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়।
সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে চীনের নানা পণ্য বাংলাদেশে আমদানি হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই তুলনায় বাংলাদেশের পণ্য চীনে রপ্তানি কম হয়। বাণিজ্য ভারসাম্য কমাতে চীনে রপ্তানি বৃদ্ধির প্রয়াসে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী দল জোড় দেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন। দায়িত্ব পাবার পর থেকেই বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াবার প্রয়াশে সালমান এফ রহমান নানান গ্রহণ করেছিলেন যার ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। আশা করা যায় এই সফরের পর চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ আরো বাড়বে।