| ঢাকা, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

রেমিটেন্স ও আমদানি মূল্যের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে

December 29, 2021
Image
রেমিটেন্স ও আমদানি মূল্যের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২০ সালে কোভিড-১৯ সময়কালে বাড়তে থাকলেও সম্প্রতি সাত মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। ২০২০ সালে ২৪ আগষ্ট বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা রেমিট্যান্স এ বছর অক্টোবর থেকে কমতে শুরু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন এর ১.১৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করেছে যার ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪.৬০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রিজার্ভ ৪৬.১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরবর্তি তিন সপ্তাহের মধ্যে ১.৩৬ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে এই রিজার্ভ দিয়ে আগামী ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তবে তিন সপ্তাহ আগেও ১০ বা ১১ মাস পর্যন্ত আমদানি ব্যয় মেটাতে রিজার্ভ ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে দেশের আমদানি ব্যয় হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়া এবং বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলার বিক্রিই এর প্রধান কারণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে কোভিড-১৯ এর ধাক্কা থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করায় মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামালসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে । এছাড়াও জ্বালানি তেল ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার কারণে আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে আমদানি খরচ হচ্ছে এবং গত কয়েক মাসে রেমিট্যান্সও কমতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং টাকার মান ধরে রাখতে মার্কিন ডলারের বিক্রি বাড়াচ্ছে আর সে কারণেই রিজার্ভ কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে পবাসীরা অক্টোবরে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যেটা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৪.৬% কম এবং গত বছরের একই সময়ের থেকে ২১.৭% কম। চলতি বছরের মে মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহের পরিমাণ ছিল ২.১৭ বিলিয়ন, জুনে ১.৯৪ বিলিয়ন, জুলাই মাসে ১.৮৭ বিলিয়ন, আগস্টে ১.৮১ বিলিয়ন এবং সেপ্টেম্বরে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ এসব দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল প্রতি দুই মাস পরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

PREVIOS POST
শেয়ারবাজারে দেশের প্রথম ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক বন্ডের লেনদেন শুরু
NEXT POST
বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া শ্রমবাজার খুলল

Related Posts