আসন্ন নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার
সারা দুনিয়া প্রযুক্তির জোয়ারে ভাসছে। প্রযুক্তির বাইরে আছেন এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া ভার। প্রযুক্তির উন্নয়ন একটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করে। এ দিক থেকে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশের অনেক খাতে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিশ্বের অনেক দেশেই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনের মতো জটিল প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তুলেছে। বাংলাদেশও এবারের নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার করবে। পূর্বে অনেক ভোটারকে ভোট দেয়ার জন্য নানা রকম ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে তাদের ভোটার নাম্বার পেতে ভোটের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এইসব সমস্যা যাতে এবার না হয় তাই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য মোবাইলের এসএমএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে যাতে দেশের প্রত্যেক ভোটার সহজেই তাদের নিজ নিজ সিরিয়াল নাম্বার, ভোট কেন্দ্র সহ আরো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন তার মোবাইলেই।
মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি এ দেশে এতটাই ছড়িয়ে পরেছে যে অঁজপাড়া-গা এর লোকের কাছেও এটি পাওয়া যায়। এমনকি একজ ন রিক্সাচালকের কাছেও একের অধিক মোবাইল রয়েছে। তারা যে শুধু মোবাইল ব্যবহার করছে তা কিন্তু নয়, মোবাইলের বিভিন্ন রকম সুবিধার সাথেও তারা পরিচিত। আমরাও প্রযুক্তির এই আবিষ্কারটি ছাড়া একটি দিন চলার কথা ভাবতে পারিনা। আগামী নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারনার জন্য মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো প্রত্যেক প্রার্থী ও প্রত্যেক দলের কাছে পছন্দনীয় হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির নব নব ব্যবহার এ দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এটিই প্রত্যেকের আশা।
স্বার্থ-কেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের জনগণ সচেতন হচ্ছে। তাই চলমান রাজনীতির ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। আশা করা যায় যে চলমান এই সংঘাতের অবসান করে নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করবে। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।