সালমান এফ রহমানের পরিচয় বদলে যাচ্ছে
সালমান এফ রহমানের পরিচয় বদলে গেছে। ব্যবসায়িক টাইকুন বা নামীদামী শিল্পপতি থেকে তিনি এখন দেশের নীতিনির্ধারকদের অন্যতম হিসেবে বেশী পরিচিত।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সালমান এফ রহমানকে আর বাংলাদেশের সবচাইতে সফল শিল্পপতি বা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী বলা যায় না। এর কারণ তিনি ব্যাবসা থেকে অন্য দিকে বেশী জড়িত। ২০০৯ সাল থেকেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । ২০১৪ সালে তিনি ঢাকা-১ আসন (দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা) থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতের শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিচয়টাই তাঁর সংসদ সদস্য পরিচয় বা ব্যাবসায়ী পরিচয় ছাপিয়ে উপরে উঠে এসেছে। সেই থেকে বছরের পর বছর ধরে তার নেয়া পদক্ষেপগুলি দেশের ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গঠনে সুফল আনতে শুরু করেছে যার ফলে তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণের একজন প্রধান কলাকৌশলী।
এখন তিনি একজন প্রভাবশালী মানুষ, শুধু প্রভাবশালী ব্যাবসায়ী নন। সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ দাবী করে যে তারা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় নিয়োগকর্তা। তাদের হিসেব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে ৭০,০০০ মানুষ কাজ করে। কিন্তু তিনি এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, সেখান থেকে তিনি দেশের সব মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি একজন নীতিনির্ধারক। সেই জায়গা থেকে তিনি দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ঠিক করার সুযোগ পেয়েছেন আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের সার্বিক ব্যাবসা বাণিজ্যর উন্নতি করেছেন যার ফল অর্থনীতিতে পড়েছে এবং দেশের সব মানুষ উপকার পেয়েছে।
তাই বলা যায়, সালমান এফ রহমানের পরিচয় বদলে গেছে। ব্যবসায়িক টাইকুন বা নামীদামী শিল্পপতি থেকে তিনি এখন দেশের নীতিনির্ধারকদের অন্যতম হিসেবে বেশী পরিচিত।