বৃষ্টির দিনের জন্য কেনাকাটা
অঝোর ধারায় বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু যদি বৃষ্টির দিনে কাজে বেরুতে হয়, তবে কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এমন পরিকল্পনা করা উচিৎ যাতে বর্ষার আনন্দটুকু নষ্ট না হয়। তাই কিছু কেনাকাটা করা দরকার যাতে নিরাপদ ও আনন্দময় বর্ষাকাল উপভোগ করা যায়।
অঝোর ধারায় বৃষ্টি দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু যদি বৃষ্টির দিনে কাজে বেরুতে হয়, তবে কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এমন পরিকল্পনা করা উচিৎ যাতে বর্ষার আনন্দটুকু নষ্ট না হয়। তাই কিছু কেনাকাটা করা দরকার যাতে নিরাপদ ও আনন্দময় বর্ষাকাল উপভোগ করা যায়।
ছাতাঃ প্রথমেই একটি ছাতা কেনা দরকার যা রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করবে। তবে যদি তা থেকে থাকে, তবে আবার কেনার কোন দরকার নেই। ছাতা অবশ্যই ছোট ও ভাঁজ করে ব্যাগে রাখার মত ছাতা হলে ভালো হয়। একটি সুন্দর, রুচিশীল ছাতা যেকোনো স্থানীয় দোকানে ৪০০-১০০০টাকায় পাওয়া যাবে।
রেইনকোটঃ ছাতা মাথায় বৃষ্টিতে হাঁটা ভালো, তবে যদি কোন যানবাহনে চলতে হয় তবে ছাতা বাতাসে উড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই একটি রেইনকোট বা বর্ষাতি এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো সমাধান। মাথা থেকে হাঁটু পর্যন্ত লম্বা থেকে শুরু করে আংশিক বিভক্ত রেইনকোটও বাজারে পাওয়া যায়। কিছু রেইনকোটে আবার আলাদা টুপি, উপরের পোশাক ও ট্রাউজার আলাদা আলাদা পাওয়া যায়, যা হেলমেট পরা অবস্থায় ভালো কাজে দেবে।
যেকোনো স্থানীয় বাজারে ৫০০-২৫০০ টাকায় ভালো রেইনকোট পাওয়া যাবে। যদি নিজের সুন্দর পোশাককে ঢেকে রাখতে মন না চায়, তবে স্বচ্ছ রেইনকোট কিনলে সে দুশ্চিন্তাও দূর হবে।
স্লিপারঃ বর্ষার দিনে উঁচু হিলের জুতা পরা ঠিক নয়, কেননা কাদামাটিতে পা পিছলে যাওয়াটা সত্যিই বিব্রতকর। এমনকি স্নিকার কিংবা চামড়ার জুতা পড়াও উচিৎ হবে না কারণ বৃষ্টির পানি জুতায় ঢুকে গেলে ছত্রাক আক্রমণ কিংবা দুর্গন্ধ হতে পারে। এরকম আবহাওয়ায় তাই আরামদায়ক চটিজুতো পরাই শ্রেয়। বিভিন্ন শপিং মল বা স্থানীয় দোকানে মাত্র ১০০-৭০০টাকাতেই এ ধরণের চপ্পল কেনা যাবে। তবে হালকা রঙের না কেনাই ভালো, কারণ এতে ময়লা লাগলে চোখে পড়ে বেশি।
প্লাস্টিক জিপার ব্যাগঃ ফোন, হেডফোন, পেনড্রাইভ বা ওয়ালেটের মত দরকারি জিনিস বৃষ্টিতে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে ছোট প্লাস্টিকের ব্যাগ থাকাটা একান্ত জরুরি। ২০-৫০টাকায় আশেপাশের যেকোনো স্টেশনারী দোকানে এ ধরণের ব্যাগ পাওয়া যাবে।
পানি-নিরোধক ব্যাগঃ ২০০-৮০০০টাকায় একটি পানি-নিরোধক ব্যাগ পাওয়া যাবে স্থানীয় ব্যাগের দোকান, শপিং মল কিংবা স্পোর্টসের দোকানেও। বর্ষার দিনে এটি যেকোনো জিনিস সাথে নিয়ে চলাচলে সহায়ক। বর্ষায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বাদলের রিমঝিম বৃষ্টিকে উপভোগ করা যায় হৃদয় থেকে।