বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া শ্রমবাজার খুলল
দক্ষিণ কোরিয়া জানায় যে তারা বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে এক আলোচনায় জানান যে তারা বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কোভিড-১৯ মহামারী কারণে ২০২০ সালের জুন থেকে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ ঘোষণা করেছিল।
সম্পূর্ণ টিকার ডোজ সহ কোভিড-প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছাড়া যেন কোন শ্রমিক দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সে দেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়ান সরকারকে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রবেশ ও পুনঃপ্রবেশ সুষ্ঠু ও সফল করার জন্য পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০০৪ সাল থেকে তাদের কর্মসংস্থান পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ ১৬ টি দেশের প্রবাসী শ্রমিকদের কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় বছরে প্রায় ৩,০০০ বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিন কোরিয়ায় কাজ করার সুযোগ পায়। ২০২০-২১ অর্থবছরে কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ২০৯ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায় ।
দক্ষিন কোরিয়ায় বাংলাদেশে ১৩তম বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-এর মতে,২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় মাত্র ২০৮ জন বাংলাদেশী কর্মী প্রবেশ করে। যেখানে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬৪৭, ২০১৮ সালে ২২৮৭, ২০১৭ সালে ১৮২৯ কর্মী, ২০১৬ সালে ১৯৮০ কর্মী এবং ২০১৫ সালে ২৩৫৯ জন। বাংলাদেশ চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে মোট ৩,৮৩,০৩২ জন শ্রমিক রপ্তানি করেছে। কিন্তু এই সময়ে একজন কর্মীকেও দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়নি নিষেধাজ্ঞার কারনে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় শ্রমবাজারে দেশের অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঠিকভাবে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি দক্ষতা পরীক্ষা চালু করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী শিল্প খাথে, মোট স্কোরের ২০% অবদান রাখবে দক্ষতা পরীক্ষা এবং বাকি ৮০% ভাষা পরীক্ষা। একইভাবে, কৃষি খাতে মোট স্কোরের ৩০% কভার করবে দক্ষতা পরীক্ষা এবং ৭০% কভার করবে ভাষা পরীক্ষা ।