সামনের নির্বাচন নিয়ে জল্পনা কল্পনা
যদিও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল অনিশ্চিত তবে আওয়ামী লীগ জয়ের জন্য ফেভারিট। দলে আছেন ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, এ কে আবদুল মোমেন, হাছান মাহমুদের মতন হেভীওয়েট সব নেতা।
বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। এটি দেশের ১২ তম সাধারণ নির্বাচন হবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এগিয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দলটি ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির দিক থেকে দলটি ভাল কাজ করেছে। দলটি ভাবছে নির্বাচনে জয়লাভের ভাল সম্ভাভনা তাদের রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও স্বৈরাচারের অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই নির্বাচনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দুর্নীতির সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দল যেমন জাতীয় পার্টি,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সব বিরোধী দলই একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে ভোটারদের পছন্দ কমবে এবং আওয়ামী লীগের জয়লাভ সহজ হব তবে নির্বাচনটি হবে প্রশ্নবিদ্ধ। আর যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে তবে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলবে।
যদিও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল অনিশ্চিত তবে আওয়ামী লীগ জয়ের জন্য ফেভারিট। দলে আছেন ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, এ কে আবদুল মোমেন, হাছান মাহমুদের মতন হেভীওয়েট সব নেতা। বিএনপি যদি তার সমর্থকদের একত্রিত করতে পারে এবং তৃণমূল ভোটারদের বোঝাতে সক্ষম হয়ে যে তারাই ভালো বিকল্প তবে নির্বাচনের ফলাফল ও বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ওপর তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
এখানে কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি আওয়ামী লীগ মুদ্রাস্ফিতি নিয়ন্ত্রন করে দ্রব্যমুল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারে তবে দলটির জয়ের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়বে। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা যদি পরিবর্তন না হয় তবে সেটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। স্বাভাবিকভাবে দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন দেখতে চাইবে। সেক্ষেত্রে বিরোধী দল বিএনপির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার ক্ষমতাসিন আওয়ামি লীগ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এবং এই ইস্যুটিও নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে বিএনপি বরাবরই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে সন্দিহান। নির্বাচন কমিশন সত্যিই যদি পক্ষপাতমুলোক আচারন করে তবে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের বিজয়ের অর্থ দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকা। আর যদি বিরোধী দল বিএনপি জয়লাভ করে তবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক পরিবর্তন হতে পারে। নির্বাচনের আওয়ামী লীগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সেক্ষেত্রে দলটির নেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট,পরিক্ষিত ও তরুন নেতৃত্বের প্রতি বিশেষ নজর দিবেন বলে ধারনা করা যায় কারন বিভিন্ন উপ-নির্বাচনে এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্ব পদে তরুণ এবং ক্লিন ইমেজের নেতাদের প্রতি নেত্রীর আস্থা।
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন কেমন হবে তা কেবল সময়ই বলে দেবে। তবে এটা নিশ্চিত যে নির্বাচনটি বাংলাদেশের জন্য এবং এর ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।